বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০২:২১ পূর্বাহ্ন
ফেনী প্রতিনিধি: সোমবার সচিবালয়ে পেশাগত কাজে বিটের কাজ সন্পন্ন করতে যান প্রথম আলোর সিনিয়র সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম। তার কাজের বাধা হয়ে আক্রমণ করেন সেখানে কর্মরত সচিব উপসচিবদের কর্মচারী রা। উদ্ভূত পরিস্থিতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ মিডিয়ায় ফলাওভাবে প্রচারের পর সারা দেশে মিডিয়াকর্মীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এর ই ধারাবাহিকতায় ফেনীতে রাজপথ প্রকম্পিত করে তোলে স্থানীয় সাংবাদিকসহ ,লেখক ,কবি ও সুশীল ব্যক্তিবর্গ।
আন্তর্জাতিক পর্যায়ে স্বীকৃত অনুসন্ধানী এই সাংবাদিকের উপর ন্যাক্কারজনক হামলা ও মিথ্যা মামলায় অভিযুক্ত করার প্রতিবাদে ১৯ মে বুধবার বিকেলে ফেনী প্রেস ক্লাবের আয়োজনে শহরের ট্রাংক রোড ফেনী প্রেসক্লাব চত্বরে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ফেনী প্রেস ক্লাবের সভাপতি জসিম মাহমুদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এন এন জীবনের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন,জেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক এড. সৈয়দ আবুল হোসেন, বিজ্ঞ আইনজীবী ও মানবাধিকার কর্মী এড. জাহাঙ্গীর আলম নান্টু,ফেনীর জিএ একাডেমির প্রধান শিক্ষক ও কবি, সাহিত্যিক তাজুল ইসলাম চৌধুরী, দাগনভূইয়ার ভাষা শহীদ সালাম মেমোরিয়াল কলেজের সভাপতি আবুল কায়েস রিপন।
সোনার হরিনের নির্বাহী সম্পাদক কবি সাইরাস চৌধুরী, ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস এম ইউসুফ আলী, বর্তমান সহ-সভাপতি সিহাব উদ্দিন লিটন, সৈয়দ মনির,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী হাবিব উল্লাহ সুমন,এবিএম নিজাম উদ্দিন, কোষাধ্যক্ষ শাহাদাত হোসাইন, দপ্তর সম্পাদক এম শরীফ ভুইয়া,স্বাস্থ্য বিষয়ক ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক তোফায়েল আহমেদ মিলন, সাহিত্য সম্পাদক শফি উল্লাহ রিপন, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক সাহিদা সাম্য লীনা, মোহনা টিভির প্রতিনিধি নিজাম উদ্দিন মজুমদার সজিব, মুক্তির একাত্তর ডটকমের নির্বাহী সম্পাদক নুসরাত চৌধুরী, সমকাল প্রতিনিধি জহিরুল ইসলাম জাহাঙ্গীর, বাংলাদেশ সমাচারের প্রতিনিধি প্রতিনিধি কাউসার হামিদ খান পিনু,সময়ের গর্জনের সম্পাদক আরিফুর রহমান, হাজারিকা প্রতিদিনের স্টাফ রিপোর্টার আবদুর রহিম, গণকন্ঠের জেলা প্রতিনিধি মোঃ ইকবাল হোসেন, সাপ্তাহিক শমসের নগরের সহ সম্পাদক আবদুল্লাহ রিয়েল, সোনাগাজী প্রেসক্লাবের সভাপতি গাজী হানিফ,দৈনিক আমাদের সময়ের প্রতিনিধি আবদুল্লাহ আল মামুন প্রমূখ।
সভায় বক্তারা বলেন, জীবন বাজি রেখে দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে ক্ষুরধার রিপোর্টিংয়ে শীর্ষে অবস্থান করা প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম দেশের সম্পদ। অনুসন্ধিৎসু সাংবাদিক এই রোজিনা ইসলাম একদিনে তৈরি হয়নি। অথচ সচিবালয়ে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে এই নারী সাংবাদিককে প্রায় ৬ ঘণ্টা আটকে রেখে হেনস্তা করা হয়েছে এবং পরবর্তীতে ১৯২৩ সালের ব্রিটিশ আইনে মিথ্যা মামলা সাজিয়ে গ্রেপ্তার করে জেলে প্রেরণ করা হয়েছে। সাংবাদিকতার ইতিহাসে এই ন্যাক্কারজনক ঘটনা একটি কলঙ্কজনক ইতিহাসের সূচনা করল। একজন নারী সাংবাদিকের মর্যাদা এভাবে ভুলুণ্ঠিত হবে আজকের উন্নয়নশীল বাংলাদেশে আমরা তা দেখতে চাইনি। প্রধানমন্ত্রীর উচিত এসব ফ্রাঙ্কেস্টাইনকে রুখে দেওয়া। নচেৎ সব উন্নয়ন ম্রিয়মান হয়ে যাবে। বক্তারা অবিলম্বে রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে তার মুক্তির দাবী জানান, এছাড়াও ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবী জানান।